নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ স্বৈরাচারের দোসর কামরুল আহসান চৌধুরী বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় জুলাই আগস্ট আন্দোলন ছাত্র হত্যা মামলা হয়েছে। লালবাগ থানায় শাওন হত্যা মামলার ২৬ নাম্বার আসামী মামলা নং-০৯ গত ১২/০১/২০২৫ মামলাটি হয়। জানা যায় কামরুল আহসান চৌধুরী পিতা মৃত জহিরুল আহসান চৌধুরী গ্রামের বাড়ি লাকসাম তিনি চিতোষী ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। অনিয়ম যেন তার কাছে নিয়মে পরিণত হয়। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে তার অনিয়মের বিষয় কোন শিক্ষক অথবা ছাত্র-ছাত্রী কথা বললে তাদের উপর বিভিন্নভাবে নিপীড়ন চালাতেন এ শিক্ষক। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে দ্বিতীয় বর্ষের দুজন শিক্ষার্থীকে তার কক্ষে ডেকে এনে লাঞ্ছিত করে এবং এর বিরুদ্ধে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কয়েক মাস আগে অন্য মালিকদের কে না জানিয়ে তার বাড়ির সামনের দিঘী থেকে ১০ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে এই নিয়ে খুব চাঞ্চল্য সৃষ্টি হচ্ছে। একই কায়দায় কলেজের উত্তর পাশের খাল থেকে বিনা অনুমতিতে ২ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করে নিজে আত্মসাৎ করে তোপের মুখে পড়ে। সুবিধা ভোগী তিন চারজন শিক্ষককে হাতে রেখে বাকি সকল শিক্ষক কর্মচারীদের কে জিম্মি করে রাখে তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। বঞ্চিত শিক্ষক কর্মচারীরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। চলমান ডিগ্রী পরীক্ষায় শুধুমাত্র তার পকেটের ৩/৪ জন শিক্ষককে দিয়ে ডিউটি করান এবং অন্যদেরকে বঞ্চিত করেন। ২০২৩ সালে তৎকালীন সভাপতি কে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে তার মেয়ের সামনে লাঞ্চিত করে এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে।৫ আগস্টের পর বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং এখনো বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ছাত্র জনতার রক্তের উপর দিয়ে ২৪শে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন কিন্তু এরকম কিছু দোসরা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে এবং তারা পুরনো কায়দায় প্রতিষ্ঠানে তাদের আধিপত্য বিস্তার করে চলছে বৈরাগত দিয়ে। হত্যা মামলা বিষয়ে লালবাগ খানের ওদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা মামলার আসামিদেরকে ধরার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। অনেক আসামি এখনো গোপনে লুকিয়ে আছে সেজন্য আমরা যৌথ বাহিনী সহযোগিতা নিচ্ছে।এই বিষয়ে কামরুল আহসান চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি এবং বর্তমান কলেজের সভাপতিকে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।