সাইফুল ইসলাম হাওলাদার, (ইন্দুরকানী) পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়ার স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর সহযোগিতায় সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই নারী বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বড় অংকের চাঁদা আদায় করেছেন বলে এলাকায় খবর চাউর রয়েছে। তার বহু নগ্ন ছবি ও ভিডিও এলাকার যুবকদের মুঠোফোনে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই সব নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও তিনি নিজেই করেছেন বলে দাবি এলাবাসির।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ওই নারীর মামলায় ঘটনার স্থান খুলনার সদর থানায় দেখানো হয়েছে। অথচ স্বাক্ষী ৮ জনের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পচ্চিম বালিপাড়া গ্রামে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪ নাম্বার স্বাক্ষী জসিম উদ্দিন হাওলাদার রাজধানীর তেজগাঁও থানার কাভার ভ্যান শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক। সে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। মামলার বাদী রিজিয়া আক্তারসহ সকল স্বাক্ষী জসিম উদ্দিনের সিন্ডিকেটের সদস্য। জসিমের নামে ইন্দুরকানী থানায় নাশকতা, বাড়ি দখলসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মামলার বাদী ওই নারীর প্রথম স্বামী এবং বালিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল গাজী জানান, এই নারী বালিপাড়া বাজার এলাকা ও বিভিন্ন এলাকার ছেলেদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত। দীর্ঘদিন অসামাজিক ও অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত। এসব কারনেই আমি সামাজিক শালিস বৈঠকের মাধ্যমে খোলা তালাক দিয়েছি। তালাকের প্রায় ১ মাস পর উক্ত মহিলা আমার বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ ও লিগ্যাল এইডে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আদালতে তার চারিত্রিক বর্ণনা ও আপত্তিকর ছবি জমা দিলে উক্ত মহিলা আদালত থেকে মামলা তুলে নেয়। এক পর্যায়ে মামলা খারিজ হয়ে যায়। এক সময় এই নারী অবৈধ ভাবে ভারতে বসবাস করতেন। সেখানেও নানা ধরনের অপকর্মের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় যুবদল নেতা শাহিন খান জানান, মুহাম্মদ নাসীর উদ্দিনের প্রতিপক্ষরা কৌশলে অর্থের বিনিময়ে এই নারীকে ব্যবহার করে তার নামে একটি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, যারা সমাজ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে মাদক, সন্ত্রাসের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করছে আমি সারাজীবন তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমি ২ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। প্রতিপক্ষরা আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একটা মিথ্যা মামলা করেছে। আমি এ ঘটনার সাথে আদৌ সম্পৃক্ত নই। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
কেসি টেকনিক্যাল কলেজ এর অধ্যক্ষ এসএম ইউনুস আলী বলেন, মুহাম্মদ নাসীর উদ্দীন অত্যান্ত সৎ ও সামাজিক একজন ব্যক্তি। আমি দীর্ঘ দিন ধরে তাঁকে চিনি ও জানি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি ষড়যন্ত্র মূলক বলে মনে হচ্ছে।