Thursday, February 6, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeদেশসৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটে শতকোটি টাকার ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি প্রসাশন নিরব

সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটে শতকোটি টাকার ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি প্রসাশন নিরব

স্টাফ রির্পোটার: সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটে শতকোটি টাকার ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন একবারেই নিবর ভুমিকায় রয়েছে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট নামে পরিচিত মার্কেটটি মূলত ছিল তৎকালীন আদমজী পাটকল। ২০০৩ সালের ২২ জানুয়ারি, দলিল নং ২৬৮ মূলে পাটকলের গুদামে থাকা কয়েক কোটি টাকার মেশিন সহ নাম মাত্র মূল্যে এক কোটি ৩২ লক্ষ টাকায় জমিটি এস,আর,ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী সামসুল হক ভূঁইয়ার কাছে বিক্রি করেন তৎকালীন পাট মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু কর্মকর্তা ।

পরবর্তীতে উক্ত জায়গায় নির্মাণ করা হয়সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট। সামসুল হক ভূঁইয়া মূলত ছিলেন স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার অর্থ মন্ত্রী
আ, ফ, ম, মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামালের অন্যতম সহযোগী ও নাঙ্গলকোট জেলা আওয়ামীলীগে প্রভাবশালী নেতা ।

সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট টি তৈরীর শুরু থেকেই নানান অনিয়মের আশ্রয় নেন সামসুল হক ভূঁইয়া তৎকালীন আদমজী পাট কলটির – এস এ খতিয়ান
নং ৩৪৩৬ দাগ নং ৭৭৫৪, ৭৭৫৬ মোট জমির পরিমান ৩.৪০ একর জায়গা মার্কেটের জন্য ক্রয় করা হলেও মূলত মার্কেট টি নির্মাণকালীন সময়ে প্রায় ১৯ শতকেরও অধিক সরকারি খাস জায়গা সুকৌশলে অবৈধ ভাবে দখল করে সর্বমোট ৩.৫৯ একর জমির উপর উক্ত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট টি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে । উক্ত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট এর এমডি সামসুল হক ভূইয়ার এস,আর,ট্রেডিং নামে যে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে সেটি জয়েন্ট স্টকে নিবন্ধন কৃত প্রতিষ্ঠান না হওয়া সত্বেও প্রতারণার কৌশল হিসেবে উক্ত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট তথা এস,আর,ট্রেডিং কোম্পানিটি একটি রেজিষ্ট্রাড কোম্পানি বলে দিব্যি দোকান বিক্রির প্রাক্কালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন এবং এখনো চালাচ্ছেন,তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার পর দেখা যায় এস,আর,ট্রেডিং কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স এর সূত্রমতে তাদের ব্যবসার ধরণ হলো একটি শপিং মলের,কিন্তু প্রশ্ন হলো উক্ত ট্রেড লাইসেন্স মূলে প্রায় দুই হাজার দোকান সম্বলিত ৪ তলা বিশিষ্ট এত বড় বাণিজ্যিক মার্কেট ভবন নির্মান এর জন্য গণপূর্ত ও গৃহায়ণ অধিদপ্তর কি করে অনুমতি ও ছাড়পত্র প্রদান করেছে ? সূত্রমতে যানাযায় এখানেও সামসুল হক ভূইয়া তার আওয়ামী রাজনৈতিক পরিচিতী ও প্রভাব বিস্তার করে এই মার্কেট নির্মান করেছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য গণপূর্ত ও গৃহায়ণ অধিদপ্তরে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করে জানতে পারে, এস,আর,ট্রেডিং কর্তৃক নির্মিত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটটি নির্মাণকালীন গণপূর্ত ও গৃহায়ণ অধিদপ্তর এর কোনো প্রকার পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করা হয়নি ও ভূমি আইনে রেজিষ্ট্রাড নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নামে নিবন্ধন করা হয়নি।

এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে এস,আর,ট্রেডিং কতৃক নির্মিত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটটি রিহ্যাব এর সদস্য পদ বা রেজিষ্ট্রেশন নম্বর না পাওয়া সত্বেও তারা রিহ্যাব এর একটি ভূয়া রেজিষ্ট্রেশন নম্বর এস,আর,ট্রেডিং এর সোস্যাল মিডিয়া পেইজে ব্যবহার করে আসছেন যার ক্রমিক নম্বর হলো – ৬৯০/২০০৯, যা ভূমি আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ,ও সরকারী – বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ দোকান মালিকদের সাথে প্রতারণার সামিল।

সূত্রমতে আরো জানা যায় উক্ত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটে শুধু মাত্র ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্প এর মাধ্যমে মার্কেটের প্রায় ১৪০০/ ১৫০০ টি দোকানের পজিশন বিক্রি করেন শামসুল হক ভূঁইয়া ও উক্ত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট এর ম্যানাজার গুলজার আহম্মেদ ।
,
এস,আর,ট্রেডিং সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট এর এমডি সামসুল হক ভূইয়া ও ম্যানাজার গুলজার আহম্মেদ উভয়ের যোগসাজশে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে দীর্ঘ ১৫/২০ বছর ধরে প্রায় ৮০/৯০ কোটি টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স ও আয়কর ফাঁকি দিয়ে আসছেন ।
এ বিষয়ে মার্কেটের শত শত ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা – অভিযোগ করে বলেন তারা ৫/৬ লক্ষ টাকায় দোকান কিনে তাতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। এক একটি দোকানে এত টাকা বিনিয়োগ করে দোকান কিনলেও দোকানগুলি এখনও পর্যন্ত তাদের নামে নানান তালবাহানা করে সাব-কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করে দেননি শামসুল হক ভূঁইয়া প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে ।

অনেক ব্যবসায়ী এ বিষয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তেমন কোনো সুরাহা পাননি ।
ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবসায়ী সমিতির দোকানদারদের কে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজি মামলা সহ আরো অনেক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং ডিজিএফ আই এর একজন চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ব্যক্তি নূর এ এলাহী ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে সূত্রমতে জানা যায়।
ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন মার্কেটে লিফট, জেনারেটর, এস্কেলেটর,পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও তা ১৫/২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি।

তাছাড়া পৌরসভায় জমাকৃত নকশা বহির্ভূতভাবে মার্কেটের অনেকাংশ নির্মিত হলেও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ও দপ্তর গুলো নিশ্চুপ ছিলেন বলে সূত্রমতে জানা যায়।

প্রায় ১৪০০/১৫০০ দোকানের পজিশন হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে বিপুল অংকের টাকা লেনদেন হলেও মাত্র ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নন রেজিষ্ট্রাড দলিল সম্পাদন হওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব হারিয়েছে ।

এ বিষয়ে জানার জন্য এস,আর,ট্রেডিং,
সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট এর এমডি সামসুল হক ভূইয়ার সাথে কথা বলতে শামসুল হক ভূঁইয়া এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পার্বতীতে এ বিষয়ে মার্কেট দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার গুলজার আহমেদ এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন ক্রেতাদের দলিল এখনো রেজিস্ট্রি করা হয়নি। কারন হিসেবে তিনি কোন সদুত্তর দিত পারেন নি। তিনি আরো বলেন আমরা শুধুমাত্র তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে দোকানের পজিশন হস্তান্তর ও বিক্রি করেছি ।

মূলত এস,আর ট্রেডিং ও সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট এর এমডি সামসুল হক ভূইয়ার দোকানগুলো রেজিস্ট্রেশন করে না দেওয়ার এমন গড়িমসি হতে পারে সরকারি কর ও ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার কৌশল মাত্র।

মূলত এস,আর ট্রেডিং ও সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটে শত কোটি টাকার ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে, সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর মিলে উক্ত এস,আর,ট্রেডিং কর্তৃক নির্মিত সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটটি নিয়ে অধিকতর তদন্ত করলে,সরকার শতকোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান।
বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments