Thursday, February 6, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeদেশজয়পুরহাটে চিনিকলে ৬২ তম আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন

জয়পুরহাটে চিনিকলে ৬২ তম আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন

মোঃমোরছালিন জয়পুরহাট: দেশের অন্যতম বৃহৎ ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকলে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬২তম আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে চিনিকলের ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সচিব আনোয়ার কবীর এবং কর্পোরেশনের প্রধান সিপিই কৃষিবিদ গিয়াস উদ্দীন।

আখ মাড়াই কার্যক্রম উপলক্ষে চিনিকল চত্বরে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আখলাছুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাটের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কে এম এ মামুন খান চিশতি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ ওয়াহাব, জেলা জামায়াতের আমির ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, জয়পুরহাট চেম্বারের সভাপতি আব্দুল হাকিম মণ্ডল, শহর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আমিনুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান, কৃষক দলের সদস্য সচিব কাজী মনজুরে মওলা পলাশ, আখ চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী বাবু, সাধারণ সম্পাদক খাজা নাজিমুদ্দিন এবং চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আলী আকতার ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীবসহ আরও অনেকে।

চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে জয়পুরহাট চিনিকল ৩ হাজার ২ একর জমিতে আখ চাষের আওতায় এনেছে। এসব জমি থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই এবং ৩ হাজার ২৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাড়াই কার্যক্রম শুরু হওয়ায় মিলটি আগামী দেড় মাস ধরে উৎপাদন চালিয়ে যাবে বলে জানা গেছে।

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান জানান, এ মৌসুমে আখের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষকদের সুবিধার্থে মিলগেটের বাইরে প্রতি কুইন্টাল আখ ৫৮৭ টাকা এবং মিলগেটে ৬০০ টাকায় ক্রয় করা হবে। আখের মূল্য দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গত মৌসুমে কুইন্টাল প্রতি ৫৫০ টাকা দরে আখ কেনা হলেও এবার দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা আখ চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত বছরের তুলনায় আখ মাড়াই কার্যক্রম আরও বাড়াতে পেরেছি। আখচাষিদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, ঋণ সহায়তা এবং সাথী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। আমাদের লক্ষ্য চিনিকলটিকে পুনরায় লাভজনক অবস্থানে নিয়ে আসা।

চিনিকল কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ আখচাষিদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments