Thursday, February 6, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeদেশদলিলকৃত সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা

দলিলকৃত সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা

মোঃ মনিরুজ্জামানচৌধুরী, (কালিয়া) নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় অধিগ্রহণের পরে দলিলকৃত ০২ শতক সম্পত্তিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পৌরসভার রামনগর গ্রামের মৃত মৌলভী মোহাম্মদ সিকদারের ছেলে মোঃ লুৎফর রহামান ও মোঃ মিজানুর রহমান এবং ছোট কালিয়ার মৃত ওয়ালিউর রহমানের ছেলে আকিবুর রহমান ও দুই কন্যা ফরিদা রহমান ও মাহমুদা খানম। গত ০৬ নভেম্বর নড়াইলের বিজ্ঞ কালিয়া সহকারী জজ আদালতে ইউএনও, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), পৌরসভা ভূমি সহকরী কর্মকর্তা, ও পৌর মেয়রসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন তারা। মামলা নং- ১৬৫/২৪।

ইউএনও কালিয়া মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, এই ২ শতক জমিসহ ১৬.২০ একর জমি ১৯৬৪ সালে ৬৪/৬৩-৬৪ নং অধিগ্রহণ কেসের মাধ্যমে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের পরে দলিল হয়েছে। কাজেই ২ শতক বাদে তাদের জমি প্রাপ্য। তাছাড়া উপজেলা পরিষদের নামে ১৬.২০ একর জমির মিউটেশন ও খাজনা দাখিলা রয়েছে। এই ২ শতক জমি মিউটেশনের জন্য তারা ২ বার আবেদন করলেও ২ বারই তা বাতিল হয়েছে। এটা কোনোভাবেই তারা পাবে না। কারন সবার আগে অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

এ দিকে মামলার বিবরনে জানা যায়, পৌরসভার বড় কালিয়া মৌজার এস.এ ২১৬৭ খতিয়ানের সেঃ মেঃ ২৪৭১ দাগের ১৯ শতক এবং সেঃ মেঃ ২৪৭২ দাগের ১৮ শতক দুই দাগের মোট ৩৭ শতক জমাজমি সমরেন্দ্রনাথ হর চৌধুরী ও দেবন্দ্রনাথ হর চৌধুরীর নিকট থেকে ১৯৭৬ সালে ৪৮৩৯ নং কবলায় উক্ত দুইটি দাগের ৩৭ শতক জমি ১ নং বাদী মোঃ লুৎফার রহমান, ২নং বাদী মোঃ মিজানুর রহমান ও ৩ থেকে ৬নং বাদীগনের পূর্ববর্তী মোঃ ওয়ালিউর রহমান সিকদারের বরাবরে হস্তান্তর করে দখল অর্পন করে। অতঃপর ওই জমি ভুলক্রমে শত্রু সম্পত্তির তালিকাভূক্ত হলে জি.পি মিস আপীল কেস ২কা/৮৮ নং কেসের মাধ্যমে ৮৯ সালে অবমুক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে ওই জমি পুনরায় অর্পিত সম্পত্তির তালিকা যুক্ত হলে বাদীগন অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন ট্রাইবুনাল নড়াইলে ৭৯৯/১৩ নং মামলা করে ডিক্রী পান। বিবাদী সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক প্রত্যর্পন আপীল ট্রাইবুনাল নড়াইলে ডি.পি আপীল ১৬/২০২১ নং আপীল করে ইং- ২০/১/২২ তারিখে পরাজিত হন এবং বাদীগনের পক্ষের ডিগ্রী বহাল থাকে। অতঃপর বাদীগন ইং- ০২/১১/২২ তারিখে জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা থেকে উক্ত দুইটি দাগের ৩৭ শতক জমির অবমুক্তির আদেশ প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ওই দাগের উত্তর পার্শ্বের সরকারী রাস্তার দক্ষিন পার্শ্বে ২ শতক জমিতে ৭টা দোকান ঘর নির্মানকালে ৫ নভেম্বর বিবাদীগন বাধা প্রদান ও ঘরগুলি ভেঙ্গে ফেলার হমকি দেওয়ায় চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদানের প্রার্থনা করেছেন বাদী পক্ষ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments