অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে বাংলাদেশ লেবার পার্টির পক্ষ থেকে ১৮ দফা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম ছাড়াও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম অংশ নেন।
সংলাপে রাষ্ট্র সংস্কারে স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশ লেবার পার্টির পক্ষ থেকে দেয়া ১৮ দফা প্রস্তাবনা হলো
১. কালোবাজারি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, টিসিবি, ভোক্তা অধিকার ও ট্যারিফ কমিশনে সক্রিয় ও রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করা। ২. আগষ্ট বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ১৭ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত, আহত ও নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করে আর্থিক সহযোগীতা ও প্রতি পরিবার থেকে অন্তত একজনকে চাকরি প্রদান। আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। ৩. অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারে কাজের পরিকল্পনা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করা। ৪. গণহত্যাকারী হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও ভোটাধিকার হরণে জড়িত ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ও বিচার করা।
৯. দুদক পুনর্গঠন করে উপযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা। ১০. যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধাসহ ইউরোপ ও অন্য দেশে গার্মেন্টস ও পণ্য রফতানির সুযোগ সৃষ্টিসহ নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান করে জি টু জি পদ্ধতিতে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো। ১১. সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে স্থায়ী ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আইন প্রবর্তন ও সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা। ১২. সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবসরের পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বেআইনি ঘোষণা করা।
১৩. জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী দল বা জোটকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ৫১ ভাগ ভোট প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, অন্যথায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। ১৪. রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নিয়োগের বিধান প্রবর্তন ও নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান। ১৫. জাতীয় পরিচয়পত্র আইন ২০২৩ বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন কমিশনে রাখা। ১৬. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। ১৭. দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও সংসদের মেয়াদ চার বছর করা। ১৮. যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেখানে দূতাবাস সেবা প্রদান ও আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি