শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, অসহযোগিতা করলে প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হবে। জনগণের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
সজিব ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দেশে একটা বিপ্লব হয়েছে। বিপ্লবের পরে কোনোকিছু আগের সিস্টেমে চলে না, কিন্তু আমরা এখনো সিস্টেম ধরে রেখেছি। প্রশাসনের কারো কারো অসহযোগিতার কারণে দেশে স্থবিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভাঙা হবে, প্রয়োজন দেখা দিলে প্রশাসনে নতুন নিয়োগ নিয়েও সরকার ভাববে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকারের ওপর স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে যাতে টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকায় বাণিজ্য সচিব নিজে গিয়ে এ কাজ পরিচালনা করছেন। ট্রাক সেলের মাধ্যমে কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে পরিকল্পনা সেটা ঢাকায় চালু হয়েছে। চট্টগ্রামেও অতিশিগগিরই এটা চালু করতে হবে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সিন্ডিকেটগুলোর উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করতে হবে। যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাজার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে সিন্ডিকেটকে বাইপাস করে একটা স্থায়ী সমাধানের পথে এগোতে হবে। বিগত কিছু বছর ধরে কৃষি উদ্যোক্তা এবং শ্রমজীবী থেকে শুরু করে তরুণ সমাজ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কোনো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদল যাতে আপনাদের বাধা দিতে না পারে সেজন্য সরকার এবং প্রশাসন সর্বোত্তম সহযোগিতা করবে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সবগুলো দফতরের মাঝে সমন্বয় ঘটাতে হবে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য বা আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতরের মাঝে জবাবদিহিতা ও সমন্বয় থাকতে হবে। নতুন বাংলাদেশে মানুষের ভোগান্তি কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের সর্বোত্তম চেষ্টা করে যেতে হবে। এতে মানুষের মাঝে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে এবং বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা হবে।
সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরসহ কয়েকটি দফতরের প্রতিনিধি উপস্থিতি না থাকায় ক্ষোভ জানান উপদেষ্টা ও শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
এর আগে, উপদেষ্টা সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও এম আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।
এ সময় মাঠ ও স্টেডিয়ামের বেহাল অবস্থা দেখে হতাশা জানান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।