নুর আমিন,খানসামা,দিনাজপুর,প্রতিনিধি: চলতি বছর দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে ওই এলাকার কৃষকরা খুবই খুশি। তারা বাজারে ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছেন। এতে কৃষকদের আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অন্যতম হলো চিনি। সেই চিনি আখ থেকে হয়। চিনির দাম বৃদ্ধি হওয়ায়। দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আখের চাষ করেছেন কৃষকরা এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। ন্যায্য দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে আখের বেশ চাহিদা রয়েছে। উপজেলার আখ সুস্বাদু ও মিষ্টি বেশি হওয়ায় পাইকারদের কাছে এর কদর অনেক বেশি। পাইকাররা এসব আখ উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে ক্রয় করে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আখের আবাদ হয়েছে। প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর আখের ফলন ভালো।
ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের কৃষক মোস্তফা কামাল বলেন, আখ চাষ একটি লাভজনক চাষ হওয়ায় এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি, চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আগামীতে আরো বেশি চাষ করার পরিকল্পনা করেছি।
ভেড়ভেড়ি ডাঙ্গাপাড়ার আখ চাষি রনজিত রায় বলেন, ৩ বছর ধরে আখের চারা চাষ করছি। এ বছর ১৬ শতক জমিতে ১৬ হাজার টাকা খরচে ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকা শও বিক্রি করেছি এবং করছি।
একই এলাকার আরেক চাষি আব্বাস আলী বলেন, আমি অল্প কিছু জমিতে আখ চাষ করি।এখান থেকে কিছু আখ পাইকারের কাছে ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বাকি আখ নিজেই খুচরা দরে ছোট আখ ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বড় আখ ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করি। বিক্রি টাকা থেকে সকল খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ১৫ হাজার।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ভৌগোলিক কারণে ও মাটির উর্বরতায় উপজেলায় বিভিন্ন ফসলসহ আখ চাষ উপযোগী তাই দিন দিন উপজেলায় বাড়তি লাভের আশায় আখ চাষে ঝুঁকছে অনেক কৃষক। আখ চাষে উদ্যোগী কৃষকদের কৃষি দপ্তর থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হবে।