২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে নাজিমুদ্দিন সামাদকে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে।
কারাগারে থাকা আসামিদেরকে এজলাসে হাজির না করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পিছিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আগামী ৩০ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
এ নিয়ে মামলায় ৮ বার অভিযোগ গঠনের তারিখ পেছাল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পেশকার পারভেজ আহমেদ ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জাকির বলেন, “বেশিরভাগ তারিখেই সকল আসামিকে হাজির করতে না পারায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। আইন অনুযায়ী অভিযোগ গঠনের সময় সকল আসামিকে এজলাসে হাজির থাকতে হয়। কেননা প্রত্যেকের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে, অব্যাহতি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর সকলকে অভিযোগ পাঠ করে শুনাতে হয়।পরে তাদের প্রশ্ন করতে হয়, এই অভিযোগে তারা দোষী না নিদোর্ষ।”
মামলার আসামিদের মধ্যে জিয়া ছাড়াও আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ পলাতক।
কারাগারে আটক আছেন রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন বিচারক।