সৈয়দ ইদ্রিস আলী(উওরা) : রাজধানীর বিমানবন্দরের কাস্টমস থেকে চার কথিত সাংবাদিককে চাঁদা দাবির অভিযোগে গণধোলাইয়ের পর পুলিশের সোপর্দ করেছে জনতা। তারা হলেন, আব্দুল মান্নান (৩০), সোহেল রানা (৩৪), মো. ফরহাদ হোসেন (২৮) ও ও এ কে এম আমিনুল কবির (৪০)।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের আমদানি কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেট থেকে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা দৈনিক সরেজমিন ও আমদের মাতৃভূমি পত্রিকার সাংবাদিক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের সু-নির্দিষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের সিএন্ডএফ (ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং) কর্মচারী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গত দশ দিন ধরে কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। সর্বশেষ আজ দুই লাখ টাকা চাঁদার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেছিল। পরে সেখানে সিএন্ডএফ কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চাঁদা দাবির পর পরই আমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। যখন তারা ঢাকা কাস্টমস হাউজের আমদানি কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটের সংরক্ষিত এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল, তখন পুলিশকে খবর দিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে।’
সিএন্ডএফ প্রতিনিধি ও সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবসায়ীক অংশীদার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বন্ড হাউজ এরিয়ার মধ্যে কয়েকজন জোর পূর্বক ঢুকে সরকারী কাজে বাধা দেয়। এর পূর্বে তারা বিভিন্ন সময়ে নানা এমাউন্টে চাঁদা দাবি করে। যার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করছি।’
এ বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘ঢাকা কাস্টমস হাউজে চারজনকে চাঁদা দাবির অভিযোগে গণধোলাই দিয়েছে সিএন্ডএফ কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’
অপরদিকে বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আটককৃতদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য টঙ্গীর শহীদ আহসন উল্লাহ্ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’