Monday, March 17, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকনিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি)  অমর একুশের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, নতুন প্রজন্ম ও কমিউনিটি সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ০১ মিনিটে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে নিয়ে কনুস্যলেটে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর শহিদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ৫২’র ভাষা শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
 
কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম তাঁর বক্তব্যে ৫২’র মহান ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি ও ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সকল সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল এবং তিনিই প্রথম বারের মত জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে। তিনি নিউইয়র্ক শহরে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এর্ং পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আরো সুন্দর ও সার্থকভাবে ফুটিয়ে তোলার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে ৫২’র সকল ভাষা শহিদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
 
উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষে গৃহিত কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্বে ২১ শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় কনস্যুলেটে নিউইয়র্ক স্টেটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনেটর ও এ্যাসেম্বলী মেম্বরসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও বিদেশী কুটনীতিকদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ, কাজাখস্তান ও পেরুসহ বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরেবেশনার মধ্য দিয়ে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হবে।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments