Monday, March 17, 2025
No menu items!
Google search engine
HomeUncategorizedবাদাঘাট বাজারে সিলেট জেলা পরিষদের ১৮ বছর পর জায়গা উদ্ধার

বাদাঘাট বাজারে সিলেট জেলা পরিষদের ১৮ বছর পর জায়গা উদ্ধার

মোঃ হাবিবুর রহমানঃ সিলেট সদর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে ১৮ বছর পর প্রায় চার একর জায়গা উদ্ধারে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করছে জেলা পরিষদ। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে আধাপাকা ও টিনের প্রায় ৭০টি অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বাদাঘাট বাজারে প্রায় ১৮ বছর আগে জেলা পরিষদের চার একর জায়গা লিজ দেওয়া হয়েছিল। একসনা লিজ অনুসারে এক বছর পর জায়গা জেলা পরিষদের আওতায় চলে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। যারা লিজ নিয়েছিলেন, তারা নবায়নও করেননি। গত প্রায় দেড় যুগ ধরে সেখানে স্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি এ জায়গার বিষয়টি জেলা পরিষদের নজরে আসে। জায়গা উদ্ধারে স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের সাথে বৈঠক করা হয়। পরে দোকানপাট ও মালামাল সরিয়ে নিতে নোটিস ও নির্দিষ্ট সময় প্রদান করা হয়। নোটিসের পর অনেকেই নিজেদের মালামাল সরিয়ে নেন। তবে অনেকেই সেখানে রয়ে গিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বুলডোজার নিয়ে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। এতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যও অংশগ্রহণ করছেন। অভিযান শুরুর পর অনেক ব্যবসায়ীকে নিজেদের মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ পলাশ বলেন, ‘এখানে একসনা লিজ দেওয়া হয়েছিল এবং এখানে দোকানপাট নির্মাণের কোনো বিধিবিধান ছিল না। তারপরও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিলেন।
একসনা লিজের শর্ত অনুসারে, কোনো অবস্থায় লিজকৃত জায়গায় স্থায়ীভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এসব শর্তাবলি কেউ লঙ্ঘন করলে লিজ আপনাআপনি বাতিল হয়ে যায়। এসব শর্ত রেখেই এখানে একসনা লিজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লিজের শর্ত ভঙ্গ করে এখানে স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ পলাশ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ ও সূর্যসেন রায়, সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান, সাঁটলিপিকাটার এ কে এম কামরুজ্জামান মাসুম প্রমুখ।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments