বরগুনায় চলছে খাল দখল করে দোকান’ঘর নির্মাণের মহা উৎসব
বরগুনা প্রতিনিধিঃ
কাটাখালী ও শিংড়াবুনিয়া দুই গ্রামের মানুষের ফসলী জমিতে চাষাবাদ করার একমাত্র পানির উৎস হলো কাটাখালির এই খালটি। খালটি ভরাট করে পাকা দোকানঘর নির্মাণের কারনেই বর্তমানে খালটিতে পানি চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে বাধা দিলেও থেমে নেই দখলদারদের দোকান নির্মানের কাজ।
বরগুনার পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালি নামক বাজারে ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মান করছেন কামাল হোসেন ও তার ভাইয়েরা, কামাল হোসেনের বাবার নাম আঃ হাকিম।
অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, নকশায় খাল ছিলো আরো দক্ষিন দিকে, খাল ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমাদের জমির মধ্যে অর্থাৎ উত্তর দিকে চলে এসেছে, আমি ও আমার ভাইয়েরা যেখানে দোকান ঘর উঠিয়েছি ওই জমি আমাদের, বাবা দাদাদের সম্পত্তি। আমার দুই ভাই দুইটা দোকানঘর বিক্রি করেছে জমি সহ। তার আরেক ভাই ছগিরকে বার বার কল করেও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, এই জমির সকল কাগজপত্র আছে আমাদের কাছে, তারপর আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই এই জমিতে ইট দিয়ে দোকান ঘর নির্মানের কাজ ধরেছি।
জমি ক্রেতা খলিল পহোলান ও প্রবাসী জামাল বলেন, আমরা জমি ক্রয় করছি, কামাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের কাগজ দেখিয়েছিলো কিন্তু আমরা যাচাই বাছাই না করেই প্লেজের জমি কিনে ফেলেছি, তারা আরো বলেন, যদি জমি সরকারী হয়ে থাকে আর যদি সরকার জমি নিতে চায় তবে আমরা ছেড়ে দিবো কিন্তু কামাল অথবা সরকারকে আমাদের টাকা দিতে হবে ।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমার সহ কর্মীদের নিয়ে ওই স্থানে যাই।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের দিকে তেরে আসে, আমি তাৎক্ষনিক ইউএনও স্যারকে জানাই, বিশ মিনিট পরে ইউএনও স্যার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন ও কাজ বন্ধ করে চলে যায়। আমি গতকাল আবার কাজ বন্ধ করে ওই জমি মেপে ইউএনও স্যারের বরাবর রিপোর্ট পেশ করি।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। জমির ব্যাপারটা আমি দেখতেছি। কিছুদিন পূর্বে কাকচিড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাবুল আক্তার আমাকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন। আমি গিয়ে কাজ বন্ধ করে এসেছিলাম।
গতকাল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবার ওখানে গিয়ে জমি মেপে আমাকে রিপোর্ট করেছে এখন তদন্ত হবে।