এইচ. এম. রাসেল, আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতাঃ
চলতি আমন মৌসুমে ধানে উচ্চ ফলন হলেও ফড়িয়াদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন আমতলী উপজেলার কৃষকরা। ৪০ কেজিতে এক মণ হলেও চলতি মৌসুমে ৪৮ থেকে ৫০ কেজিতে মণ হিসাবে ধান কিনছেন ফড়িয়ারা। এ কারণে প্রতি মণে ৮ থেকে ১০ কেজি ধান বেশি দিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে ধানের উচ্চ ফলনেও ক্ষতির মুখে কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৩ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতেই ধান আবাদ করা হয়। এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো থাকায় বাড়িতে বসেই কৃষকরা ধান বিক্রি করছেন। গ্রামে বিপুল পরিমাণ ধান সিদ্ধ করা কিংবা শুকানোর জায়গা নেই। এ কারণেই ধান মাড়াই করার পরপরই বিক্রি করে দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারাবছর মেট্রিক পদ্বতিতে ৪০ কেজিতে এক মণ হলেও ৪৮ থেকে ৫০ কেজিতে মণ হিসাব করে ধান কিনছেন দালাল ও ফড়িয়ারা। এতে তারা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমতলী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মণ ধান এক হাজার ৩০ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৪৮ থেকে ৫০ কেজিতে মণ হিসাব করে ধান বিক্রি করায় কৃষকরা মণপ্রতি ২৫০-২৬০ টাকা কম পাচ্ছেন। উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন উত্তর সোনাখালী গ্রামের কৃষক হানিফ হাওলাদার বলেন, ধান মাড়াই করার পর চিটা কুটা আলাদা করে বস্তা ভরে বিক্রি করি। যেহেতু ধান কিছুটা কাঁচা থাকে সেজন্য মণ প্রতি এক কিংবা দুই কেজি ধান বেশি নিলে সেটা একটা যুক্তির মধ্যে থাকে। কিন্তু ফড়িয়ারা মণপ্রতি ৮ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত বেশি নিচ্ছে। এটা অন্যায়। কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস ভোরের ডাককে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।