Sunday, October 13, 2024
No menu items!
Google search engine
Homeদেশশহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে : মঞ্জুর হোসেন ঈসা

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে : মঞ্জুর হোসেন ঈসা

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান ও এনডিপি’র মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেছেন, ৫১ বছর পরেও আজও যথাযথ মর্যাদার সাথে সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদেরকে ধারণ ও লালন করতে পারছে না। অনেকেই জানে না আজকে কি দিবস? বিরঙ্গনা ও বীরমুক্তিযোদ্ধারাও শ্রদ্ধা জানাতে এসে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদাও পাচ্ছে না। এতে করে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে রক্তক্ষরণ ছাড়া আর কিছু অর্জন হচ্ছে না। আমাদের প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। কারো দয়া বা দক্ষিণার দান নয়। বরং ত্যাগের মধ্যদিয়ে লাল সবুজের পতাকার সৃষ্টি হয়েছে। বিজয়ের উষালগ্নে ঘাতকরা নির্মমভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছিল। তারা ভুলে গেছে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই হৃদয় দিয়ে দেশকে ভালোবাসে। শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ও গোষ্ঠি চেয়ার দখলের রাজনীতিতে দেশপ্রেমের রাজনীতি ভুলে গেছে। তাদেরকে শেরে বাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলনা ভাসান ও বঙ্গবন্ধুর চেতনার আদর্শের বীজ তুলে ধরতে হবে। আর সেই জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সবার আগে দেশ। এই স্লোগানকে শুধু মুখে নয় হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।

১৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী ব্যাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিরঙ্গনা আমেনা খন্দকার, বীর বিক্রম হেমায়েত বাহিনীর অন্যতম সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সুশিলা, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা জহির চিশতী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাসির আহমেদ, মোঃ মতিউর রহমান খানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বীর উত্তম হেমায়েত বাহিনীর সদস্য এবং যুদ্ধকালীন সময় পাক হানাবাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা জহির চিশতী, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মূল ফটকের সামনে এসে অসুস্থতার কারণে মূল ব্যাধিতে উপস্থিত হতে পারেনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কিছু পাওয়ার জন্য সেদিন যুদ্ধ করিনি। তবে যখন দেখি আমাদের মতো মুক্তিযোদ্ধারা অসহায় মানবেতর জীবন-যাপন করে তখন কষ্ট হয়। তখন মনে হয় বঙ্গবন্ধু কি এই দিনটি দেখার জন্য সেদিন মুক্তির ডাক দিয়েছিল। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো জবাব পেতাম। এখন জবাব দেয়ারও কেউ নেই। এখন মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদেরকে দলীয়করণে নিয়োজিত রেখেছে। কিন্তু আমরা সেদিন এ আদর্শ নিয়ে জীবনকে উৎসর্গ করিনি। তিনি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেয়ার জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।

বীরঙ্গনা আমেনা খন্দকার বলেন, মিরপুরে বীর উত্তম হেমায়েত বাহিনীর নামে একটি রাস্তা হয়েছে। এখন যদি আধুনিক হাসপাতালটি তার নামে নামকরণ করা হয় আমরা খুবই খুশি হবো। আমরা অসহায় ছিন্নমূলদের নিয়ে কাজ করছি। আশাকরছি রাষ্ট্র আমাদের পাশে দাড়াবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments