রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়া ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধারা গলাচিপা থেকে ’ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন। পরদিন রাত আটটার দিকে পাক-বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এসময় পাক বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের রেফিকর ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমন করেন। এ যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা অংশগ্রন করেন। ৭ ঘন্টা ত্রিমুখী আক্রমনের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করেন। এতে দুই রাজাকার এবং আরিফুর রহমান মুকুল নামের এক মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। পরে ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা। এরপর ৫ হানাদার এবং ২৭ জন রাজাকারকে থানার সম্মুক্ষে গুলি করে বাংলাদেশের বিরোধিতা করায় কঠিন বিচার করা করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, যুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীন করেছি রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ার জন্য নয়।এখনো ওরা এবং ওদের সন্তানরা ঘাপটি মেরে আছে, আমি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের কাছে আহবান জানাই, ওরা বিশ্বাসঘাতক ওদেরকে এখনই প্রতিহত করা উচিত, যাতে এরা সামনের দিনে আর কখনো মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, স্বাধীন এদেশে ওদের কোন ক্ষমা নেই বলে তিনি জানান।